তদন্ত রিপোর্ট প্রতিবদেক: সিলেটের সদর উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের গভীর নলকূপের মারফতে ফসলী জমিতে পানি দিয়ে দিনমজুর কৃষকদের কাছ থেকে নগদ টাকাসহ টাকার বদলে ধান নেয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতার ফরহাদ বক্সের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে- নগরীর ৩৭নং ওয়ার্ড আখালিয়ার টিলারগাঁও পশ্চিম অংশে কৃষকদের ফসলী জমিতে পানি সেচ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ফরহাদ বক্স জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নামে নগদ টাকা এবং ধান নিচ্ছেন। এমনকি চুক্তিতে কৃষকদের ফসলী জমিতে পানি দেওয়ার বিনিময়ে বাণিজ্য করছেন ফরহাদ বক্স। দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি বরাদ্দকৃত নলকূপের পানি দিয়ে বাণিজ্য করলেও কোন ব্যবস্থা নিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে কৃষক ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুত্রমতে- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট-১ আসনের সাবেক এমপি ও সাবেক অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত এর ব্যক্তিগত গাড়ির চালক ছিলেন নগরীর ৯নং ওয়ার্ড নেহারি পাড়া এলাকার চুনু মিয়ার ছেলে ফরহাদ বক্স। দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পাশাপাশি ৩৭নং ওয়ার্ডে নিজস্ব গবাদি পশুর খামারে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১টি গভীর নলকূপ স্থাপন করেন। বোরোধান চাষে পানির চাহিদা থাকায় ফরহাদ বক্স কৃষকদের নিকট হতে নগদ টাকা ও ১ কিয়ার ৩০ শতকে প্রতি ৩ ফালি ৭৫ কেজি ধান দেয়ার চুক্তিতে পানি বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। যারা ধান দিতে রাজি হন না তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা নিতেন বলে জানান একাধিক কৃষক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে একাধিক মামলার আসামী ফরহাদ বক্স পালিয়ে যান। বর্তমানে খামার দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা নজরুল কৃষকদের কাছ থেকে ধান ও টাকা আদায়ের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াৎ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সিলেট সদর উপজেলার সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ লায়েছ মিয়া তালুকদার ব্যবহৃত সরকারি সেলফোনে যোগাযোগ করলে উভয়ের কেউই ফোনকল রিসিভ না করায় বক্তব্য সংগ্রহ করা যায়নি।
Leave a Reply